ভারতীয় বোলার জসপ্রীত বোমরার বেশ অভিমান হয়েছে।
এমনিতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জমানকে আউট করেও করতে পারেন নি – নো বল হয়ে গিয়েছিল বলে! আর ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যাওয়া ওই নো বলটা নিয়ে বিজ্ঞাপনতৈরি হয়েছে বলেই এ অভিমান।
তা-ও আবার পাকিস্তানে নয় – ওই নো-বলের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে নিজের দেশেরই পুলিশ!
অভিমান করে লিখেছেন বুমরা, “বাহ জয়পুর পুলিশ। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার পরেও কী সম্মান দেখানো হল।”
পরের টুইটে লিখেছেন, “কিন্তু চিন্তা করো না। তোমরা কাজের সময়ে যেসব ভুল কর, তা নিয়ে আমি কিন্তু মজা করব না। ভুল তো মানুষমাত্রেই হতে পারে।”
কেন অভিমান বুমরার?
ঘটনা হল, ট্র্যাফিক সিগন্যালের আগে ‘স্টপ’ লাইন পেরলে যে বিপদ হতে পারে, সেই ব্যাপারে গাড়ি চালক আর পথচারীদের সতর্ক করার জন্য একটা বিজ্ঞাপন দিয়েছে রাজস্থানের জয়পুর শহরের পুলিশ।
ওই বিজ্ঞাপনেই জসপ্রীত বুমরার সেই নো-বলের একটি ছবি দেওয়া হয়েছে আবার তাতে লাল রঙ দিয়ে গোল করে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে বুমরার নো বল করার মুহুর্তটাও। পাশে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে ‘লাইন পেরবেন না, জানেন নিশ্চই সেটা করলে কী মূল্য চোকাতে হবে!’
ইঙ্গিতটা স্পষ্ট – ওই একটা নো বলের জন্য ভারতকে অনেক মূল্য চোকাতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে।
এই বিজ্ঞাপনের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরে নজরে পড়ে জসপ্রীত বুমরার।
শুক্রবার তিনি অভিমান করে জয়পুর ট্র্যাফিক পুলিশকে ট্যাগ করে টুইট করেছেন।
পুলিশের জবাব
বুমরার অভিমানী টুইট দেখার পরেই জয়পুর ট্র্যাফিক পুলিশের অফিশিয়াল টু্ইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, “প্রিয় জসপ্রীত বুমরা। আপনি যুবসমাজের একজন আইকন। আপনার বা লাখো ক্রিকেটপ্রেমীর মনে আঘাত দিতে চাই নি আমরা। ট্র্যাফিক নিয়মের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি ওই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।”
বুমরা এই টুইটের জবাব দেন নি। কিন্তু টুইটারাত্তিরা এই বিজ্ঞাপন নিয়ে দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
একদল লিখেছেন এইভাবে বুমরাকে নিয়ে মজা করাটা উচিত হয় নি। যারা এটা করেছে তারা ক্রিকেটের ‘ক’-ও জানে কী না সন্দেহ!
অন্যদল বলছে, ‘আমূল’ কোম্পানির বিখ্যাত হয়ে যাওয়া বিজ্ঞাপনগুলির মতোই খুবই সৃজনশীল বিজ্ঞাপন এটা। বুমরা বা ক্রিকেটপ্রেমীদের আহত হওয়ার কিছু নেই এতে।